Bangla Shasya Bima Yojana 2025: গত বছরের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষকদের ফসল উৎপাদনে বিপুল পরিমাণে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই সমস্ত কৃষকদের বাংলা শস্য বীমা যোজনা আওতায় অন্তর্ভুক্ত করে ক্ষতিপূরণ প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি রাজ্যের কৃষকদের শস্য বীমা দাবি করার জন্য নতুন আবেদন পত্র চালু করল রাজ্য সরকার।
বাংলা শস্য বীমা যোজনা এই আবেদন পত্রটি সঠিক পদ্ধতিতে পূরণ করে জমা করলেই কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি ঢুকে যাবে ফসলের বীমার টাকা। এই পদ্ধতি এবং আবেদনের বিভিন্ন তথ্য বিশদে জানার জন্য অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়ে নিন আজকের প্রতিবেদনটি।
বাংলা শস্য বীমা যোজনা
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষকদের প্রাকৃতিক বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে প্রায় প্রতিবছরই ফসল উৎপাদনে প্রচুর পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়। এই কারণে কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ফসলের সুরক্ষা দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। এর ফলে কৃষকদের আর্থিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Read More: মেয়ের বিয়েতে ১ লক্ষ টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার! চালু হল রাজ্যে নতুন প্রকল্প।
চলতি বছরে কারা বীমার সুযোগ পাচ্ছেন?
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে চলতি বছরের রবি মরশুমে কৃষকদের শস্য বীমা যোজনার জন্য আবেদন পত্র গ্রহণ করা হচ্ছে। যেখানে রবি মরশুমে যদি কোনো রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সেই ফসলের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এর জন্য কৃষকদের নির্দিষ্ট ফসলের বীমা প্রকল্পে আবেদন জানাতে হবে। এখানে আলু, বোরো ধান, গম ,সর্ষে, রবি ভুট্টা, গ্রীষ্মকালীন ভুট্টা, মুগ, তিল, বাদাম, আখ, ছোলা, খেসারি, মুসুর ডাল ইত্যাদি ফসলের বীমার জন্য আবেদন জানাতে পারবেন কৃষকেরা।
How To Apply For Bangla Shasya Bima Yojana 2025?
Bangla Shasya Bima Yojana 2025 তে আবেদনের জন্য কৃষকদের প্রথমে আবেদন পত্রটি সংগ্রহ করতে হবে। এই আবেদন পত্রটি কৃষি অফিস, গ্রাম পঞ্চায়েত, কিষাণ মান্ডিত অথবা দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন ইচ্ছুক কৃষকেরা। এছাড়াও অনলাইন মাধ্যমে শস্য বীমা যোজনা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র ডাউনলোড করার সুযোগ থাকছে কৃষকদের কাছে। আবেদনপত্র সংগ্রহ হয়ে গেলে এটি সম্পূর্ণ অফলাইন মাধ্যমে হাতে-কলমে পূরণ করে কৃষি অফিস, কৃষক মান্ডি অথবা দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে জমা করে দিতে হবে।
আবেদনপত্রের সঙ্গে অবশ্যই কৃষকদের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, জমির দলিল, ফসলের বিবরণ, ব্যাংক একাউন্টের বিবরণ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি জমা করতে হবে।